Tuesday, December 13, 2011

Book Store

সত্যেন্দ্রনাথ বসু

আমরা সবাই কম-বেশি সত্যেন্দ্রনাথ বসুর নাম শুনেছি। সিঠিক ইতিহাসে তাকে একজন বাংলাদেশি পদার্থবিজ্ঞানী হিসেবেই উল্লেখ করা হয়। তার পৈত্রিক নিবাস এবং বংশগত ভিটা বাড়ি সবি বাংলাদেশে। ভারত বিভাগের অনেক বছর পুর্বে তার পিতা কাজের জের ধরে কলকাতায় থাকা শুরু করেন। সেখানে ১৮৯৪ এর ১লা জানুয়ারী তার জন্ম হয়। তিনি তার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সেখানেই শেষ করেন এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞানের উপর বিএসসি পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠার পর তিনি সেখানে পদার্থবিজ্ঞানের লেকচারার হিসেবে যোগ দেন এবং শিক্ষকতা জীবনের পুরটাই এখানে কাটান। এখানেই তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাটি ঘটে। তিনি পরমানুর ফোটন কণার উপর তার ছাত্রদের একটি পরীক্ষা দেখাতে গিয়ে কিছু একটা ভুল করেন এবং দেখতে পান যে ফোটন কনাটি তার স্বাভাবিক আচরনের চেয়ে অনেক বেশি শক্তি প্রদর্শন করছে যাতে তিনি অবাক হন এবং এর উপর আরো গবেষনা করে আবিষ্কার করেন এক বিশ্নয়কর কণা যা শক্তি সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের ধারণা পরিবর্তন করে দেয়। তার গবেষণার ফলাফল তিনি লন্ডনে প্রেরণ করেন তবে কিছু একটা তাত্বিক ভুলের কারনে তা গ্রীহিত হয়নি। তবে এতে আগ্রহ হয় বিখ্যাত বিজ্ঞানী আইনষ্টাইনের। তিনি এই তাত্বিক ভুলটি সংশোধন করলে এটি গৃহীত হয় এবং পদার্থের এ নতুন কণাটির নাম হয় বোসন ( বসুর ‘বোস’ এবং আইনষ্টাইনের ‘ন’ নিয়ে )( http://en.wikipedia.org/wiki/Boson) তিনি এই গবেষণার জন্য নোবেল পুরষ্কারের জন্য মননীত হন যেখানে তাকে একজন বাংলাদেশী বিজ্ঞানী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তিনি তখন নোবেল না পেলেও ২০০১ সালে এই (Bose–Einstein statistics- http://en.wikipedia.org/wiki/Bose%E2%80%93Einstein_statistics ) এর উপর গবেষনার জন্য এক ড্যানিশ বিজ্ঞানী নোবেল পান। পরবর্তিতে তার এ তত্বের উপর ভিত্তি করে ইউরোপে পৃথিবীর আদি ও অন্তের ইতিহাস, সূর্য সহ সমগ্র মহাবিশ্বের সর্বমোট শক্তির পরিমান বের করতে ১৯৯৮ সাল থেকে পৃথিবীর অন্যতম বড় বিজ্ঞান গবেষণাগার সার্ন (CERN) মাটির নিচে ৬০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে ঝুকিপুর্ণ গবেষনা শুরু করে, এতে কোন ধরনের বড় ভুল হলে প্রচন্ড শক্তিতে সমগ্র ইউরপের ১/৪ অংশ ধংশ হয়ে যেতে পারে। এ গবেষণার জন্য যে যন্ত্রটি (লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডার LHC- http://public.web.cern.ch/public/ )  ১৯৯৮-২০০৮ এ দীর্ঘ সময়ে বানানো হয়েছিল তাতে সামান্য ত্রুটি বের হওয়ায় ২০১০ সালে গবেষানার কাজ অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ রাখা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বকালের এ শেষ্ঠ অধ্যক্ষের জন্মদিনে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়(http://www.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=172499)। তবে দুঃখের বিষয় হল বিশ্বের সকল বিজ্ঞানীরা সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে চিনলেও, তার তত্ব পরলেও তাকে অনেকেই একজন জার্মান বিজ্ঞানী হিসেবে জানে এমনকি সার্নের যে বিজ্ঞানীরা তার তত্ব নিয়ে গবেষনা করছেন তাদের অনেকেও।



To Download ETE 4th Semester core books Go Here- http://bdzonenews.blogspot.com